স্বদেশ ডেস্ক: দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়ার পর কক্সবাজার উপকূলে ভেসে আসা ট্রলার থেকে আরও পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ২ দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের সমিতি পাড়া থেকে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুপুরে হিমছড়ি ও মহেশখালী থেকে উদ্ধার করা হয় আরও দুজনের লাশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসাইন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে হিমছড়ি ও মহেশখালীর হোয়ানক থেকে দুজন ও রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারের সমিতি পাড়া থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
তাদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন-ভোলা জেলার চরফ্যাশন রসুলপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের শামছুদ্দিন পাটোয়ারী (৪৫), চরফ্যাশনের পূর্ব মাদ্রাসা এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন (৩৫), চরফ্যাশনের উত্তর মাদ্রাসা এলাকার অলি উল্লাহ (৪০), একই এলাকার অজি উল্লাহ (৩৫), মো. মাসুদ (৩৮), বাবুল মিয়া (৩০) ও জাহাঙ্গীর আলম।
পরিচয় শনাক্ত হওয়া সাতজনকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত বুধবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সাগর থেকে ভেসে আসা একটি ফিশিং ট্রলার থেকে ছয় জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। সে সময় দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তারা এখনো কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জীবিত উদ্ধার হওয়া মনির আহমদ মাঝি জানান, গত ৪ জুলাই ভোলার চর ফ্যাশনের শামরাজ ঘাট থেকে মাছ ধরার উদ্দেশে সাগরে পাড়ি দেয় ট্রলারটি। তারা মোট ১৪ জন এই ট্রলারে ছিলেন। গত ৬ জুলাই ভোরে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া ও উত্তাল ঢেউয়ের কারণে ট্রলারটি থেকে ছিটকে পড়ে জেলেরা।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রলারটির মালিক ভোলার চর ফ্যাশন এলাকার ওয়াজ উদ্দিন পিটার।